Thursday, January 23, 2014

এখনো শেখার বাকি দেশপ্রেমের প্রথম পাঠ

ঘটনা ...
নিউ ইয়র্কের ভারতীয় কনসুলেটের ডেপুটি কন্সাল জেনারেল দেবযানীকে ভিসা আবেদনে ভারতীয় গৃহকর্মীর বিষয়ে ভুয়া তথ্য দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। মেয়েকে স্কুলে নামিয়ে দেয়ার সময় রাস্তা থেকেই দেবযানীকে গ্রেপ্তার করে প্রকাশ্যে তাকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে দেয়া হয়। ভারতের দাবি ওই কূটনীতিককে বিবস্ত্র করে তার দেহে তল্লাশি চালানোর পর তাকে মাদক চোরাচালানী ও যৌনকর্মীদের সঙ্গে কারাকক্ষে আটকে রাখা হয়েছিল। পরে আড়াই লাখ ডলার জামিনে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। দুই কন্যা সন্তানের জননী ৩৯ বছর বয়সী দেবযানী কন্স্যুলেটের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও নারী বিষয়ক কনসাল জেনারেল।

প্রতিক্রিয়া:
  • ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী দেবযানীকে ‘কূটনৈতিক সুবিধা’ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে ভারত। যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপকে ‘বর্বর আচরণ’ বলে আখ্যা দেয়া হয়েছে।
  • সরকারের বাইরে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারাও যুক্তরাষ্ট্রের এই ‘আচরণের’ প্রতিবাদস্বরূপ ভারত সফররত যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলকে সাক্ষাৎ দেননি।
  • রাহুল গান্ধী ও মোদির সঙ্গে ওই প্রতিনিধি দলের আলাদা বৈঠকের কর্মসূচি ছিল। কিন্তু তারা তা বাতিল করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার সিন্দেও তাদের সঙ্গে দেখা করেননি।
  • দেবযানীকে যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তার প্রতিবাদে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন ও লোকসভার স্পিকার মীরা কুমারও যুক্তরাষ্ট্রর কংগ্রেস প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক বর্জন করেন।
  • ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ন্যান্সি পাওয়েলকে ডেকে পাল্টা কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছেন।
  • দিল্লিতে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের বাইরে থেকে নিরাপত্তা ব্যারিকেড তুলে নেয়া হয়েছে।
  • পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক ও তাদের পরিবারের জন্য বিমান বন্দরের পাস বাতিল এবং যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের জন্য আমদানি ছাড়পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
  • দূতাবাসের বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকরা নিয়মিত কর দেন কি না, তা দেখতে ভিসাসহ তাদের বেতন ও ব্যাংক হিসাব সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য চেয়েছে ভারত।
  • যুক্তরাষ্ট্র কনস্যুলেটের সব কর্মকর্তাদের পরিচয়পত্র অবিলম্বে জমা দেয়ার নির্দেশসহ তাদের ও তাদের পরিবারের গৃহকর্মীরাসহ সব বেতনভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিষয়ে তথ্য চেয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তর।
  • পুরো জাতি যুক্তরাষ্ট্রকে এই বার্তা পাঠাতে চাইছে যে, তাদের দেবযানী বিষয়ে তাদের পদক্ষেপ ভারত চুপচাপ মেনে নিচ্ছেনা।
ঘটনা ২...
‘ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তানের’ একনিষ্ঠ সমর্থক কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ডে উদ্বেগ জানিয়ে ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান পার্লামেন্টে শোক প্রস্তাব গ্রহণ। মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লা নির্দোষ ছিলেন বলে দাবি করেছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমানে রাজনৈতিক নেতা ইমরান খান।

প্রতিক্রিয়া:
  • আব্দুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড নিয়ে পাকিস্তান পার্লামেন্টের পদক্ষেপকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ‘নাক গলানোর শামিল’ বিবেচনা করে তার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে সরকার। ঢাকায় পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়।
  • এবিষয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন অধ্যাপক, লেখক, সাংবাদিকসহ বিশিষ্ট ৩৬ ব্যক্তি। ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্বাক্ষরিত এই বিবৃতিতে বলা হয়, “যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লার ফাঁসি পরবর্তী ঘটনাগুলো আমাদের দারুণভাবে বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ করেছে।
  • একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পরিবারের সদস্য এবং ৭১’এ নির্যাতিত নারীদের নেতৃত্বে পাকিস্তান দূতাবাস অভিমুখে মিছিল করছে গণজাগরণ মঞ্চ।
ঘটনা ...
মহান বিজয় দিবস সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধের অনুষ্ঠানে যাননি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূতরা। রীতি অনুযায়ী এ দিনে সূর্যোদয়ের সাথে সাথেই প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে প্রধানমন্ত্রী সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পরপরই বিদেশী কূটনীতিকরাও সেখানে উপস্থিত থাকেন। আগেরদিন বিকেল পাঁচটার দিকে ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের অফিস থেকে এক বার্তায় জানানো হয় যে এবার বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে তারা যোগ দিচ্ছেন না। যোগ না দেবার কারণ হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন দুটি বিষয় উল্লেখ করে।
প্রথমত: ১৬ ডিসেম্বর তাদের একটি সমন্বয় সভা আছে।
দ্বিতীয়ত: বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তারা একটি প্রতিবেদন তৈরি করছেন যেটি ইউরোপীয় পার্লামেন্ট তারা জমা দেবেন। একারনে ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা ব্যস্ত থাকবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রনালয় থেকে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলা হয়, বাংলাদেশের বিজয় দিবসের মতো রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে বিদেশী কূটনীতিকদের যোগ না দেবার ঘটনা অতীতে কখনোই ঘটেনি। বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ না দেয়া বাংলাদেশের মানুষের প্রতি অশ্রদ্ধা এবং অবমাননাকর বলেও জানানো হয় ইউরোপীয় ইউনিয়নকে। কিন্তু গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিক থেকে এ ধরনের প্রতিক্রিয়ার পরও সাভারে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যাননি ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দিক থেকে সে সমন্বয় সভার কথা বলা হচ্ছে সেটি শুরু হয়েছিল সকাল সাড়ে দশটার পরে। কিন্তু স্মৃতিসৌধের আনুষ্ঠানিকতা সাধারণত সকাল সাতটার মধ্যেই শেষ হয়ে যায়।

প্রতিক্রিয়া:
  • বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিক থেকে অসন্তুষ্টি এবং ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে আরেকটি বার্তা পাঠানো হয়।
  • পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অসন্তুষ্টি জানিযে বলা হয় “বাংলাদেশ চিন্তাই করতে পারছেনা যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেযোগদান থেকে বিরত থাকতে পারে। বিজয় দিবস বাংলাদেশের মানুষের আবেগ এবং গর্বের বিষয়”
আমার শিক্ষা...
নকল করতে ওস্তাদ আমরা। জামা কাপড় থেকে শুরু করে গান খাবার কোথায় নেই নকল করার প্রবণতা। ভারতীয় পণ্য, পাকিস্তানের লন না হলে আমাদের ফ্যাশণ পূর্ণতা পায় না। প্রতি ঈদে ভারতের নায়িকাদের নামের পোশাক গায়ে না চড়ালে আমাদের ইজ্জত থাকে না। অথচ ভারত-পাকিস্তানের কাছ থেকে দেশপ্রেম শিখে উঠতে পারলাম না। দেশের স্বার্থে সব রাজনৈতিক দল কিভাবে এক হয়ে কাজ করে এটা শিখে উঠতে পারলাম না। এখোনো শেখা হয়নি কিভাবে দলমত নির্বিশেষে পাকিস্তান জিন্নাহ কে জাতির পিতা সম্বোধন করে। তখন পাকিস্তানের জাতির পিতা আর মুসলিম পাকিস্তানিদের জাতির পিতায় কোন কাটাকাটি লাগে না। আবার কংগ্রেস-বিজেপি এক মঞ্চে দাড়িয়ে যখন গান্ধির জন্ম মৃত্যু দিবস পালন করে তখন তাদের রাজনৈতিক পরিচয় বাধা হয়ে আসে না। জাতি হিসেবে আমরা অনেক গর্ব  করি। আমাদের জাতীয়তা বোধের ভারে দেশ রীতিমত ভারাক্রান্ত। অথচ আজও আমরা এক জাতি হয়ে উঠলাম না।

সকাল সকাল গানটা মাথায় এসেছিল।

“মায়ের দেয়া মোটা কাপড় মাথায় তুলে নে রে ভাই
দীন দুখিনী মা যে তোদের তার বেশী আর সাধ্য নাই।।
ঐ মোটা সুতোর সঙ্গে মায়ের অপার স্নেহ দেখতে পাই
আমরা এমনি পাষাণ,তাই ফেলেঐ, পরের দোরে ভিক্ষে চাই।।
ঐ দু:খী মায়ের ঘরে তোদের সবার প্রচুর অন্ন নাই,
তবু তাই বেচে কাঁচ, সাবান, মোজাকিনে করলি ঘর বোঝাই।।
আয়রে আমরা মায়ের নামে এই প্রতিজ্ঞা করব ভাই
পরের জিনিস কিনব না যদি-মায়ের ঘরের জিনিস পাই।”

বাঙালির প্রথম কাপড়কল 'বঙ্গলক্ষ্মী কটনমিল'-এর মোটা সুতোয় শাড়ি তৈরি উপলক্ষে এই গানটি লেখেনরজনীকান্ত সেন। পরে স্বদেশি আন্দোলনে বিদেশি পণ্য বর্জনের কর্মসূচি প্রচারে মূল ভূমিকা পালন করেছিল এই গান। আমাদের আসলে আবারো একটা স্বদেশী আন্দোলন দরকার। দিন শেষে আশার আলো পাকিস্তান দূতাবাস অভিমুখে গণজাগরণ মঞ্চের মিছিল এবং অবস্থান। গণজাগরণ মঞ্চই করতে পারবে আরো একটা স্বদেশী আন্দোলন।

আমি লজ্জিত, ক্ষুব্ধ এবং আতংকিত

সমস্ত সুশীলতার মুখে ঝাড়ু মেরে বলছি হ্যাঁ আমি লজ্জিত!!! আমার দেশের বিরোধী দলীয় নেতা সরকার হটাতে একটা কর্মসূচি দিয়েছিলেন যার নাম তিনি নিজেই ভুলে গেছেন। অথচ সেই নাম জপতে জপতে তার দলে নেতা কর্মীরা শহীদ হওয়ার পথে। এজন্য পার হেড ১ হাজার টাকা বরাদ্দ করেও তাদের রাজপথে পাওয়া যায় না। ঠগ বাছতে গা উজাড় হওয়ার মতই ১৮ দলের জামায়াত বাছতে বিএনপি উজাড় হওয়ার পথে এসে দাড়িয়েছে। এই সাধারন কথাটি যে কোন সুস্থ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ বুঝতে পারলেও বিএনপির কোন অদৃশ্য মধু খাওয়া সমর্থকরা (আহাম্মক বিশেষণ সহযোগে পড়ুন) সেটা বোঝেনা নাকি মধুর লোভে না বোঝার ভান করে সেটা আমি বুঝি না। হয়তো আমি বড় আহাম্মক। আমি লজ্জিত আমার দেশের প্রধানমন্ত্রী অপমানের জবাবে মার্কিন মুল্লুকের সাংবাদিককে ধমক দিলে সেটা হয় শিষ্ঠাচার বর্হিভূত কাজ। আর ভরা মজলিশে ক্যামেরা, বুম এবং সাংবাদিকদের সামনে অসভ্য ভাষায় ধমকা-ধমকি করলে সেটা তালি পায়। তিনি কার উদ্যেশে সেই ধমক দিয়েছেন সেটা আমি জানতে চাই না। আমি কেবল জানি কোন ভদ্রলোক পাবলিক প্লেসে এমন ভাষা ব্যবহার করে না। প্রটোকলে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কে এভাবে বলতে পারেন কিনা সে গবেষণায় আর নাইবা গেলাম।

আমি ক্ষুব্ধ তিনি আমার এলাকার সম্পর্কে কটুক্তি করেছেন। তিনি বিরোধীদলের নেতা হতে পারেন কিন্তু এই অধিকার আমি তাকে দেই না। আমি প্রশ্ন করি সুশীল নামক বিএনপির(পড়ুন জামায়াত! কারণ আমার মতে, বিএনপি নামক দলটি জামায়াতের রশি গলায় দিয়ে আত্মহত্যা করেছে) সেইসব জারজ সন্তানদের কাছে, যারা আদিবাসী না বলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বললে নাকি ওই জাতির অপমান হয় বলে গলা ফাটিয়েছেন বিভিন্ন সময় তারা আজ কোথায়? নাকি তারা আজও উপনিবেশিক ভৃত্য হয়ে আছেন, যাদের সাদা চামড়ার মুখ নিসৃত সব কথাই, অমৃত বাণী লাগে? আমি ক্ষুব্ধ কারন কেবল ব্যক্তিগত আক্রোশকে তিনি জাতীয় কর্মসূচিতে পরিণত করেছেন। তার কথায় আজ স্পষ্ট তিনি আওয়ামীলীগকে ঘৃণা করেন, ঘৃণা করেন শেখ হাসিনা তথা শেখ মুজিবের পরিবারকে। কিন্তু কেন? এই পরিবারটি দেশের স্বাধীনতায় নেতৃত্ব দিয়েছেন তাই? যে দলটির তিনি প্রধান সেই দলের প্রষ্ঠিাতার কোন লেখা বা কথায় আমি্ শেখ মুজিব বা তার পরিবারের প্রতিতো ঘৃণা দেখতে পাইনি!!! শেখ মুজিবের মৃত্যু কোন একজনের ব্যক্তিগত আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ নয়। তবে মহামাণ্য বিরোধী দলের নেতার এক ব্যক্তিগত ঘৃণার কারন কি?
আমি আতংকিত, গোপালগঞ্জের মানুষের প্রতি তার যে আক্রোশ তিনি আজ প্রকাশ করেছেন খোদা না করুক তিনি ক্ষমতায় গেলে গোপালগঞ্জ নামক জেলাটিকে তিনি উজাড় করে দেবেন বলে আমি আশংকা করছি। যদিও দীর্ঘ দিন বসবাস করায় আমার নাড়ির টান, মনের টান এবং স্থায়ী ঠিকানা সবই খুলনার কিন্ত শিকড়ের টান এখনো রয়ে গেছে। সেই্ টানেই হয়তো আজ লেখার তাগিদ অনুভব করছি। তিনি যেভাবে করে আল্লার গজব পড়বে বললেন, তাতে আমি সত্যি সত্যি আতংক বোধ করছি সেই গজবটা আল্লাহ না ফেললেও তিনি সুযোগ পেলে অবশ্যই ফেলবেন। এমন ঘৃণা বুকে নিয়ে একটা না আরো ৪/৫ টা ২১ আগষ্ট ঘটিয়ে ফেলা সম্ভব।

যারা আমাকে আওয়ামীলীগের দালাল বলে গালি দিয়ে মনে মনে সুখ অনুভব করছেন অথবা বলছেন “আসছে নব্য আওয়ামীলীগার” তাদের বলছি, দান কিন্তু ঘর থেকেই শুরু হয়। নিজের দেশের মানুষ এবং জায়গা সম্পর্কে এই পরিমান ঘৃণা পোষণকারীকে আর যাই হোক দেশপ্রেমিক বলা চলে না। আর তারও চেয়ে বড়ো কথা এই দলটির নুন খাইনি, কখনো খাওয়ার সম্ভাবনাও নাই। তাই আওয়ামীলীগ নামক দলটির গুন গাইতেও বসিনি। আমি কেবল এই দলটির কাছে কৃতজ্ঞ তারা এই দেশের মাটিতে জন্ম নেয়া কিছু কুলাঙ্গারের বিচারের ব্যবস্থা করেছে। যদিও তার অবস্থা “কানা মামা”-র মত! তবু নাই মামার চেয়ে আমার কানা মামাই ভালো। আর বিএনপি নামক দলটিযে সব লজ্জা শরমের মাথা সেই কুলাঙ্গারদের বাঁচাতে মরিয়া সেটা আর নতুন করে প্রমাণের কিছুই নাই। বেগম খালেদা জিয়া জামায়াতকে ছেড়ে এসে দেখতেন আপনার পাশে কত মানুষ থাকতো। গণতন্ত্রকে বাঁচাতে আপনাকে কোন কষ্টই করতে হতো না। একাকী ঘরে গ্রেফতার আতংকে ভুগে জঙ্গি রাজনৈতিক গোষ্ঠীরমত ভিডিও বার্তাও পাঠাতে হতো না।

কিন্তু এখন এই আপনার অবস্থা দেখে আমার যা মনে হচ্ছে তা বলতে কবি গুণকে স্মরন করে বলতে হয় “ এতই যদি গ্রেফতার আতংক তবে কর্মসূচি দিয়েছিলে কেন”